ডায়াবেটিক ও কিডনি সিস্টের জন্য ৭ দিনের করলা–নিমপাতা–দারুচিনি–মেথি খাদ্য পরিকল্পনা
ডায়াবেটিক ও কিডনি সিস্টের জন্য ৭ দিনের করলা–নিমপাতা–দারুচিনি–মেথি খাদ্য পরিকল্পনা
করলা, নিমপাতা, দারুচিনি ও মেথি—প্রাকৃতিকভাবে রক্তে চিনি কমাতে সাহায্য করে। নিচের ৭ দিনের মিল প্ল্যানটি ডায়াবেটিক ও সাধারণ কিডনি সিস্ট রোগীদের জন্য নিরাপদ ও ভারসাম্যপূর্ণ।
🍃 নির্দেশিকা:
- প্রতিদিন সকালে করলা–নিমপাতা–দারুচিনি–মেথি রস আধা কাপ করে পান করুন।
- ভাতের পরিমাণ ½ কাপের বেশি নয়।
- তেল ও লবণ খুব সীমিত ব্যবহার করুন।
- চিনি, প্যাকেটজাত খাবার ও ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন।
🗓️ ৭ দিনের মিল প্ল্যান (Day–wise Table)
| দিন | সকাল | দুপুর | রাত |
|---|---|---|---|
| শনিবার (দিন ১) | করলা–নিমপাতা–দারুচিনি–মেথি রস ½ কাপ | ভাত ½ কাপ + মুগ ডাল + লাউ/করলা তরকারি + সেদ্ধ ছোট মাছ | সবজি স্যুপ + ১ রুটি + শসা/টমেটো সালাদ |
| রবিবার (দিন ২) | করলা–নিমপাতা–মেথি–দারুচিনি রস ½ কাপ | ভাত ½ কাপ + ডাল + পুঁই/পালং শাক + লাউ ভাজি (কম তেল) | সবজি খিচুড়ি + টক দই (চিনি ছাড়া) |
| সোমবার (দিন ৩) | করলা–নিমপাতা–দারুচিনি রস + ১ চা চামচ মেথি পানি | ভাত ½ কাপ + ডাল + করলা ও লাউ মিশিয়ে তরকারি + ১টি সেদ্ধ ডিম | সবজি স্যুপ + ১ রুটি + সালাদ |
| মঙ্গলবার (দিন ৪) | করলা–নিমপাতা রস + ১ ফোঁটা লেবু + দারুচিনি পাউডার ছেঁকে | সবজি খিচুড়ি + টক দই + লাউ/করলা ভাজি (কম তেল) | সেদ্ধ শাক/পালং + ১ রুটি + ছোট মাছ |
| বুধবার (দিন ৫) | করলা–নিমপাতা–মেথি–দারুচিনি রস ½ কাপ | ভাত ½ কাপ + ডাল + লাউ/ঢেঁড়স তরকারি + সেদ্ধ ডিম/মুরগি (ছোট পিস, কম তেল) | সবজি স্যুপ + ১ রুটি + সালাদ |
| বৃহস্পতিবার (দিন ৬) | করলা–নিমপাতা–দারুচিনি–মেথি রস ½ কাপ | ভাত ½ কাপ + ডাল + লাউ/করলা তরকারি + টক দই | সবজি সেদ্ধ + ১ রুটি + ছোট মাছ |
| শুক্রবার (দিন ৭) | করলা–নিমপাতা–মেথি–দারুচিনি রস ½ কাপ | সবজি খিচুড়ি + মুগ ডাল + লাউ/করলা মিশিয়ে তরকারি | সেদ্ধ ডিম + সালাদ + ১ কাপ গরম পানি |
💧 সাধারণ নির্দেশনা:
- দিনে অন্তত ১.৫–২ লিটার পানি পান করুন (যদি ক্রিয়েটিনিন বেশি না হয়)।
- তেল: দিনে সর্বোচ্চ ২ চা চামচ।
- লবণ: দিনে সর্বোচ্চ ৫ গ্রাম বা তার কম।
- রাতে দেরি করে খাবেন না; ৮টার মধ্যে খাবার শেষ করুন।
- হালকা হাঁটাচলা বা যোগব্যায়াম প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট।
নোট: যদি কিডনি সিস্ট বড় হয়ে যায় বা ক্রিয়েটিনিন ১.৩ এর বেশি হয়, তবে পালং শাক, কলা, টমেটো ইত্যাদি উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার সীমিত রাখুন।
🩺 স্বাস্থ্য সচেতন থাকুন • প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ থাকুন • পরামর্শ: আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে অনুসরণ করুন।


No comments